৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৯ ডিসেম্বর শুরু। আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এ পরীক্ষা চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আসনবিন্যাস দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব প্রার্থীর নিবন্ধন নম্বর কক্ষ অনুসারে দৈবচয়নের ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর নিবন্ধন নম্বর জোড়-বিজোড় সংখ্যায় ভাগ করে সিট বসানো হয়েছে।
দৈবচয়নের ভিত্তিতে আসনবিন্যাস প্রস্তুত করায় এবার নিজের সিট ও কক্ষ খুঁজে পেতে প্রার্থীদের সময় লাগবে। তাই পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পিএসসি।
৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর বিসিএস পরীক্ষার আসনবিন্যাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু পরীক্ষার্থী ত্রুটিপূর্ণ আসনবিন্যাসের সুযোগ নিয়ে থাকেন।
এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, অলংকার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে যদি এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।