২৩ বছর বয়সী তরুণী মারিয়ানা চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকার বোর্ডে যখন তাঁর অন্তর্বাস খুলে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছিল, তখন একজন নারী নোটপ্যাডে সবকিছু লিখে রাখছিলেন। সে সময় তাঁর নিজের অনুভূতিকে তিনি ‘চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীর’ অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে যাঁদের ওজন বেশি, যাঁরা চশমা পরেন, যাঁদের তিল বা দৃশ্যমান দাগ ছিল, তাঁদের তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে যাঁদের ওজন বেশি, যাঁরা চশমা পরেন, যাঁদের তিল বা দৃশ্যমান দাগ ছিল, তাঁদের তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নিয়োগকারী সংস্থার একজন নারী সদস্য বলেছেন, যাঁদের শরীরে কোনো দাগ রয়েছে, তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
মারিয়ানা আরও বলেন, চাকরিপ্রার্থী একজন তরুণী সাতটি ভাষায় কথা বলতে জানেন। তারপরও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁর ভ্রুতে একটি ছোট্ট দাগ ছিল। ওই তরুণীকে বলা হয়েছিল, দাগ থাকায় তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। এ-ও বলা হয়, সাতটি ভাষা জানা নিয়োগের কোনো মাপকাঠি নয়।
বিয়াঙ্কা নামের ২৩ বছর বয়সী আরেকজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, তাঁর আগে যে তরুণী সাক্ষাৎকার দিতে রুমে ঢুকেছিলেন, তিনি সাক্ষাৎকার শেষে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসেছিলেন।
একজন নারী আমার মুখ হাঁ করিয়ে দাঁত পরীক্ষা করেছেন। তখন নিজেকে কুকুরের মতো মনে হয়েছিল। দাঁত পরীক্ষার জন্য তিনি তাঁর চোখ প্রায় আমার মুখের ওপর রেখেছিলেন। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি।
বিয়াঙ্কা বলেন, যখন তাঁর পালা শুরু হয়, তখন তাঁকে পোশাক ওপরে তুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সাক্ষাৎকার বোর্ডে থাকা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁকে পোশাক খুলতে বলেন। পরে তাঁদের সামনে কেবল অন্তর্বাস পরে থাকতে তিনি বাধ্য হন।
বিয়াঙ্কা বলেন, ‘একজন নারী আমার মুখ হাঁ করিয়ে দাঁত পরীক্ষা করেছেন। তখন নিজেকে কুকুরের মতো মনে হয়েছিল। দাঁত পরীক্ষার জন্য তিনি তাঁর চোখ প্রায় আমার মুখের ওপর রেখেছিলেন। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি।’
মারিয়া নামের ১৯ বছর বয়সী আরেক তরুণীও পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বলেছেন, সাক্ষাৎকার বোর্ডে কাউকে কম খেয়ে ওজন কমানোর কথা বলেছেন, আবার কাউকে কাউকে ওজন বাড়ানোর কথাও বলেছেন।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজ বা এয়ারলাইন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি মেকটি কোনো মন্তব্য করেনি।