প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কোটা থাকার কথা থাকলেও সেখানে প্রতিবন্ধী কোটা রাখা হয় নাই। অথচ অন্যান্য কোটা বহল ছিল। যাঁদের জন্য প্রয়োজন, তাঁদের এ দেশে কিছু থাকে না। আর যাঁদের প্রয়োজন হয় না, তাঁদের না চাইতেই অনেক বেশি কিছু দেওয়া হয়। যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক শতাংশ কোটাও বরাদ্দ থাকত, তাহলে হয়তো কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ সুবর্ণ সুযোগ হতে বাদ পরত না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন। তাঁর মতো কয়েকজন প্রতিবন্ধী তরুণ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটা চালু করে, চূড়ান্ত নিয়োগ দিয়ে তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে চাকরিপ্রার্থী মাহবুব শেখ বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের দফা চার দফায় বলা হয়েছে নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না।
আরও আছে ২৯ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বলা এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে তাঁদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না।
অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা না হলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার ঘোষণা দেন।