স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ‘ঔষধ পরিদর্শক’ (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফলের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ১৩ জনকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে দেওয়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঔষধ পরিদর্শক পদে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীত নিয়োগ পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করে ১৩ জনকে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত সব সনদ, তথ্য, ডকুমেন্টস ইত্যাদি বিজ্ঞাপনের শর্ত এবং আবেদনপত্রে প্রদত্ত অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে কর্ম কমিশন প্রার্থীদের এই শর্তে সাময়িকভাবে সুপারিশ করেছে যে নিয়োগের আগে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রার্থীদের সব সনদ তথ্য, ডকুমেন্টস ও অন্যান্য কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করবে।
সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সাময়িকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের পরবর্তীকালে কোনো যোগ্যতার বা কাগজপত্রাদির ঘাটতি ধরা পড়লে, দুর্নীতি, সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে, অসত্য তথ্য প্রদান করলে বা কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল পরিলক্ষিত হলে ওই প্রার্থীর সাময়িক সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীকে ফৌজদারি আইনে সোপর্দ করা যাবে। চাকরিতে নিয়োগের পর এরূপ কোনো তথ্য প্রকাশ পেলে বা প্রমাণিত হলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সি কর্তৃক নিয়োগের সুপারিশের পূর্ববর্তী জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করবে। প্রকাশিত ফলাফলে কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের ক্ষমতা কর্ম কমিশন সংরক্ষণ করে।
মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এই লিংকে দেখা যাবে।